আউটসোর্সিং নিয়ে আমাদের ব্যাপক ভুল ধারনা রয়েছে। বিশেষ করে যারা, এই শব্দটার সাথে নতুন পরিচিত হয়।
আমরা “আউটসোর্সিং” এবং “ফ্রিল্যান্সিং” শব্দ দুটির অর্থ একই ভেবে ভুল করি! দুঃখজনক হলেও সত্য আমারদের দেশের মিডিয়া এইভুল প্রচার করে চলেছে।
সেটা অন্য বিষয়, চলুন তাহলে জানার বোঝার চেষ্টা করি।
আউটসোর্সিং জিনিসটা আসলে কি?
এর আভিধানিক অর্থ “বহিঃউৎসায়ন” ।
অর্থাৎ, এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ছোট কিংবা বড় বাবসা প্রতিষ্ঠান তাদের কোন কাজ বা কাজের অংশ বিশেষ বাইরের দ্বিতীয় কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করিয়ে নেয়।
জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটার খালিদ ফারহান এর কথা অনেকটা এমনঃ আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের গার্মেন্টস শিল্প অনেক উন্নত দেশে পোশাক রপ্তানি করে।
তেমনি, ইউরোপের কোন পোশাক ব্রান্ড আমাদের বাংলাদেশের কোন গার্মেন্টস থেকে বোতাম, সূতা কিংবা সম্পূর্ণ শার্ট বা জিন্স তৈরি করে নিচ্ছে। হয়ত তারা যোগাযোগ করছে অনলাইনে, কিংবা ইউরোপ থেকে জাহাজে কাপড় পাঠিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে।
এখানকার কারখানা গুলো সেগুলো প্রস্তুত করে আবার জাহাজে পাটিয়ে দিল।
খেয়াল করুন, এখানে ইউরোপের ব্রান্ডটি তার প্রয়োজনীয় সার্ভিসটি আউটসোর্স করতেছে ।
কিছু ভালো বাংলা ব্লগ দেখেছি, যারা আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ভালোভাবে না বুঝে আউটসোর্সিং থেকে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় বর্ণনা দিয়েছেন।
আসলে আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং ভিন্ন দুটি বিষয়। অনলাইনে আয় এবং আউটসোর্সিং সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়।
তাহলে, আমরা শিখলাম আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য বিরাট আছে।
সুচিপত্র
কেন আউটসোর্সিং করা হয়?
এখন বাংলাদেশে এফ কমার্স বা ফেসবুক ভিত্তিক বাবসা বা ইউটিউব খুব জনপ্রিয়। উদাহরণটা এভাবে সুরু করা যাক।
আপনার চ্যানেলে ের জন্য ভিডিও তৈরি করতে চান। কিন্তু ভিডিও স্যুট করলেন, এডিট করতে পারেন না। কিংবা আপনার টিমে এডিট করার লোকের অভাব।
আপনার বাজেট তুলনামূলক কম, এজন্য নোতুন লোক নিয়োগ করতে চাচ্ছেন না। স্থায়িভাবে নিয়োগ দিলে মাসে মাসে অনেক টাকা বেতন দিতে হবে।
এই কাজটি সহজ করার জন্য আপনি কোন এক্সপার্ট এডিটরকে হায়ার করতে পারেন খুব কম খরচে। এটার জন্য আপনাকে হেল্প করতে পারে কিছু আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেস।
পুরো প্রক্রিয়াটি হতে পারে অনলাইনে। এতেকরে তাকে মাসে মাসে টাকা না দিয়ে অল্প খরছে আপনার এডিটিং ের কাজটি করে নিতে পারছেন ফলে, আপনার কোম্পানির ব্যয় অনেকাংশে কম হবে।
মূলত যেকোন কোম্পানির ব্যয় কমানোর জন্য এবং অল্প খরছে কোন কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং করা হয়।
আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
সহজভাবে বললে, “যে বেক্তি কাজ করিয়ে নিচ্ছেন সে আউটসোর্সিং করতেছেন। এবং যে বেক্তি কাজ করে দিচ্ছেন সে ফ্রিল্যান্সিং করতেছেন”। আশা করি ক্লিয়ার হয়েছেন। ধন্যবাদ।
আউটসোর্সিং করতে যা যা লাগবে:
আপনার কাজটি যদি অনলাইনে করে নিতে চান । তাহলে আপনার ইংরেজি জানা থাকলে ভাল হবে।
কারন ইংরেজি জানা থাকলে ইউরোপিয়ান বা অ্যামেরিকান কোন বেক্তি কে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।
সেই ফ্রিলাঞ্চার কে আপনার কাজটি সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলে ইংরেজি জানা অত্তান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আউটসোর্সিং সুবিধা কি?
উল্লেখযোগ্য সুবিধা সমুহঃ
- দক্ষ জনবলদিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন
- তুলনামূলক খরচ কম, সেহেতু, ইনভেস্ত খরচ অন্য কাজে লাগাতে পারবেন
- কম সময়ে বেশি কাজ কমপ্লিট করে এগিয়ে থাকবেন
- আপনার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট হিসাব নিকাশ সহজ হয়ে যাবে
কি কি কাজ আউটসোর্স করা যায়?
এই ২০২১ সালে এসে, এক হিসেবে আপনি সব কাজই কাজ আউটসোর্স করতে পারবেন। উল্লেখ যোগ্য কিছু তালিকা হলঃ
- মার্কেটিং
- ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট
- ওয়েব সাইট ম্যানেজমেন্ট
- রিসার্চ হেল্প
- প্রোগ্রামিং
- সফটওয়্যার
- আর অনেক কিছু
আউটসোর্সিং কিভাবে শিখতে পারবো?
আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পরে থাকেন তাহলে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন।
আউটসোর্সিং করার জন্য শেখার কিছুই আছে কি আদৌ?
যদি আপনি বিজনেস ওনার হন, এবং আপনার কোন প্রয়োজনীয় কাজ আউটসোর্সিং করতে চান। তাহলে আপনার যেটা শেখা জরুরী তাহলো কোন কাজ কাওকে দিয়ে কিভাবে সঠিক ভাবে করিয়ে নিবেন।
কারন ফ্রিলাঞ্চিং জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে ের মধ্যে কিছু অসাধু বেক্তি ঢুঁকে পড়েছে। আউটসোর্সিং করার জন্য কোন কিছু শেখার প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে অনেক কিছু শিখতে হবে।
আরও পড়ুন – ফাইভার থেকে টাকা আয় করব কিভাবে
কিভাবে আউটসোর্সিং করে জীবন গড়া যায়?
প্রাথমিক ধারণা লাভের জন্য আপনি ইউটিউবে খোঁজ করুন, পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটি যেমন আপওয়ার্ক বাংলাদেশ বা আরও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকতে পারেন।
পাশাপাশি আপনি ভালো একজন মেন্টর খুঁজে বের করতে পারেন।
রপর ভালো মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক বা ফাইবারের মতো প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন।
পাশাপাশি অনুরোধ থাকবে, আপনার পড়াশোনার ক্ষতি করবেন না। পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বিষয় হাতেকলমে শিখতে পারেন।
আউটসোর্সিং এর ওয়েবসাইট সমুহঃ
ফ্রিল্যান্সার খোঁজার জন্য অনলাইনে হাজার হাজার মার্কেটপ্লেস রয়েছে।
নিচের যেকোন একটি মার্কেট খুজলে আউটসোর্সিং এর জন্য ভালোমানের ফ্রিল্যান্সার খুজে নিতে পারবেন। আপনার পরবর্তী প্রজেক্টের জন্য।
- ফাইভার – Fiverr.Com
- আপওয়ার্ক – Upwork.Com
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম – Freelancer.Com
- গুরু – Guru.Com
- টপটল – Toptal.Com
আউটসোর্সিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ
আউটসোর্সিং জগতে নতুনদের জন্য সবচেয়ে ভালো মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইভার তারপর সবচেয়ে ভাল মার্কেটপ্লেস হল আপওয়ার্ক ।
আউটসোর্সিং হচ্ছে নিজের কাজ কোন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে না করিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে কারো কাছ ধেকে করিয়ে নেওয়া। যে এই কাজ সম্পন্ন করবে সে করবে ফ্রিল্যান্সিং।
এখন কথা হচ্ছে আউটসোর্সিং করা জায়েজ কিনা বা হালাল কি না। এবং করা যাবে কিনা?
এই বিষয় টা নির্রভর করে কাজের উপর। যে কাজের জন্য আউটসোর্সিং করবেন সে কাজটা হালাল কিনা।
আমি নিজে কোন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করিনি। যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে ইউটিউব থেকেই ফ্রিতে সব শিখতে পারবেন।
আউটসোর্সিং এর অনেক কাজ আছে তার মধ্যে আসলে সহজ কাজ কোনটা এইটা বলা কঠিন।
এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে, আপনি কি ধরনের কাজ করবেন ল্যাপটপ দিয়ে। এবং ল্যাপটপ এর ধারন ক্ষমতার উপর।
প্রোগ্রামিং।
সে যুগ ১০ বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছে।
তেমন কোন জরিপ করা হয়নি।
প্যাশন কে ফলো করুন।
মার্কেটিং শিখুন।
ধন্যবাদ।
Please help
কিভাবে হেল্প করতে পারি, আপনাকে?